দুই ম্যাচে ১৮৭ গোল। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। এক ম্যাচে একটি দল জিতেছে ৯৫-০ গোলে এবং অপর ম্যাচে আরেকটি দল জিতেছে ৯১-১ গোলে। দুই ম্যাচে মোট গোল ১৮৭। এটা কি আদও সম্ভব। ৯০ মিনিটের খেলায় এত গোল কি করে সম্ভব।
এটা অবিশ্বাস্য হলেও খেলাটি হয়েছে সিয়েরা লিওনের দ্বিতীয় স্তরের ফুটবল লিগে।
দুই ম্যাচে ১৮৭ গোলের অকল্পনীয় ঘটনায় তোলপাড় পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি। কাহুনলা রেঞ্জার্স ৯৫–০ গোলে হারিয়েছে লোম্বেবু ইউনাইটেডকে। আর ককুইমা লেবাননের বিপক্ষে গালফ এফসির জয়টি ৯১–১ গোলে।
ম্যাচ দুটির প্রায় সব গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমার্ধে ৯৫–০ গোলের ম্যাচটির স্কোরলাইন ছিল ২–০। অর্থাৎ ৯৩ গোল হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে! যার মানে প্রতি মিনিটে ২টি করে গোল হয়েছে। আরেকটি ম্যাচের অবস্থাও একই। এর দ্বিতীয়ার্ধে হয়েছে ৮৪ গোল। প্রথমার্ধে স্কোরবোর্ডে ছিল ৭–১। স্বাভাবিকভাবে এমন দুটি ম্যাচকে পাতানো বলে দাবি করেছে এটাকে পাতানো ম্যাচের ভয়ংকর এক ঘটনা বলেছেন সিয়েরা লিওনে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এসএলএফএ)। সংস্থাটির প্রধান ড্যাডি ব্রিমা বলেছেন, ‘এমন ঘটনায় কেউ শাস্তি পাবে না, এমনটা হতে পারে না। আমরা দ্রুতই তদন্ত শুরু করব।
ম্যাচ পাতানোর মতো অপরাধমূলককাণ্ডে জড়িত নন দাবি করে ৯৫–০ গোলে হারা লোম্বেবুর মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইয়ান সাইয়েদ জাল্লো বলেছেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেক গোল খেয়েছি। আমি এটা নিয়ে হতাশ। তবে আমি কোনোভাবেই ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত নই।’ এমন জয়ে খুশির বদলে ক্ষমা চেয়েছেন কাহুনলা রেঞ্জার্স দলটির প্রধান নির্বাহী এরিক কেইটেল। তিনি বলেছেন, ‘আমার দলের এমন জয়ের জন্য আমি দেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে ক্ষমা চেয়েই কথা শুরু করছি। প্রতিপক্ষ দলের এমন অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
সিয়েরা লিওনে দেশটি সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো এই যে, বাংলা ভাষাকে তারা তাদের দেশের অন্যতম সরকারি ভাষা হিসাবে ঘোষণা করেছে ২০০২ সালে।