উরুগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার দারুণ জয়। লাতিন আমেরিকায় ব্রাজিলের পরেই যে দলের সাথে আর্জেন্টিনার নিয়ত প্রতিদ্বন্দ্বী সেটা হলো উরুগুয়ে। আজ তারা তাদের এই প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে। এতে দর্শক ও তাদের কোচ দারুণ খুশি হয়েছেন।
আর্জেন্টিনা জিতবে আর মেসি গোল পাবে না তা হতে পারে না। তবে কালকের ম্যাচেও তা হয়নি। মেসি গোল পেয়েছেন। মেসির গোলের পর থেকেই খেলার মোড় দারুনভাবে ঘুরিয়ে গেছে আর্জেন্টিনার। মেসি ছাড়াও গোল পেয়েছেন রদ্রিগো দি পল ও লাওতারো মার্তিনেজ। অপরদিকে অত্যন্ত্য ভালো খেলেও গোল করতে পারেনি লুইস সুয়ারেজ ও কাভানির দল।
তবে কালকের ম্যাচের খেলা নিয়ে খুব খুশি হয়েছেন তাদের কোচ লিওনেল স্কালোনি। তিনি বলেন উরুগুয়ে অত্যন্ত্য ভালো খেলেছে। তারা যখন আক্রমন করেছে তখন আমরা খুব শক্ত ভাবে তা প্রতিরোধ করেছি। ওরা আমাদের জন্য বেশ সমস্যার সৃষ্টি করেছিল। তবে আমরা সেগুলো সমাধান করে নিজেদের মতো খেলতে পেরেছি। প্রথম গোল আসার আগ পর্যন্ত ম্যাচটা অনেক কঠিন ছিল। সুয়ারেজের দুটি আক্রমণ আমাদের ভুগিয়েছে। তবে এটা যে আমরা জানতাম না তা নয়। ওদের দলে দুর্দান্ত কিছু ফরোয়ার্ড আছে, রক্ষণভাগটাও অসাধারণ।
আর্জেন্টিনার হয়ে মাঝমাঠে লিয়ান্দ্রো পারেদেস আর দি পলের সঙ্গী ছিলেন টটেনহাম হটস্পারে খেলা মিডফিল্ডার জোভান্নি লো সেলসো। মার্তিনেজ আর মেসির গোল দুটি তিনিই বানিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়। মাঝমাঠটাকে যেন একদম নিজের করে নিয়েছিলেন সাবেক এই পিএসজি ও রিয়াল বেতিস তারকা। সফল পাস ঠেলেছেন ৮৩ শতাংশ, ‘কী পাস’ যেটিকে বলে, তা দিয়েছেন ছয়টা। মাঝমাঠ থেকে উঠে গিয়ে নিজেই শট নিয়েছেন ছয়টা।
লো সেলসোর এই পারফরম্যান্সে মুগ্ধ স্কালোনি, ‘লো সেলসো আমাদের সঙ্গে বহুদিন ধরে আছে। আমরা ওর খেলার মানকে সম্মান করি। যেকোনো কারণেই হোক ও কখনই আমাদের হয় অত ভালো খেলতে পারেনি। কিন্তু আমাদের কাছে ও বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড়।