পর পর দুই টি-টোয়েন্টি জিতে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদেরকে আগেই আন্ডারডগ বানিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সিরিজ রক্ষার ম্যাচের চেয়ে অজিদের কাছে তৃতীয় এই টি-টোয়েন্টিটা ছিল সম্মান বাঁচানোর লড়াই। তবে সফলকাম হলো না এবারও। বাংলাদেশের দারুণ বোলিংয়ে ১২৮ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ব্যর্থ হয় অস্ট্রেলিয়া। সুযোগ হাতছাড়া করে হতাশ অসি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ১০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ দুই ম্যাচে হাতে রেখেই ৩-০ ব্যবধানে জিতল লাল সবুজের দল।
সিরিজ হাতছাড়া করে অসি অধিনায়ক বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সত্যি অসাধারণ খেলেছে। তাদের বোলাররা দুর্দান্ত। তারা আমাদের প্রতিটি ম্যাচেই ১২০-১৩০ রানের মধ্যে বেঁধে রাখে। আমরা তাদের অসাধারণ বোলিংয়ে ব্যাট হাতে ভালো খেলার কোনো সুযোগই পাচ্ছি না। এটা সত্যি হতাশার। শেষ দিকে বাংলাদেশের বোলারদের মোকাবিলা সত্যি কষ্টসাধ্য। তাদের অনেকে আমাদেরকে এক ওভারে ৪-৫ রানের বেশি দিতেই চায় না।
আসলে রিকয়ার্ড রানরেট ৬-৭ হয়ে গেলেই এই উইকেটে তা কষ্টকর হয়ে যায়, আর ৮ হয়ে গেলে তো প্রায় অসাধ্য। এখন আমাদের এটাই দেখার বিষয় বাকি দুই ম্যাচে কিভাবে ফিরব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসন্ন। তাই প্রতিটি ম্যাচই সোনার চেয়ে দামি।’।’
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করেন নাথান এলিস। শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ, মুস্তাফিজ ও মেহেদীকে আউট করে নিজের অভিষেক ম্যাচ হ্যাটট্রিকে রাঙালেন এলিস। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১১৭ রানে থামে অস্ট্রেলিয়া।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে অসিদের ওপেনিং জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। তরুণ এই স্পিনারের বল ম্যাথু ওয়েড শরীর ঘুরিয়ে পুল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বল লাফিয়ে ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে সহজ ক্যাচ যায় সেই শর্ট ফাইন লেগে। সেখান ছিলেন শরিফুল। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি তিনি। ৫ বলে ১ রান করে আউট ওয়েড। দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।