সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২০ এর লিখিত পরীক্ষা এপ্রিলে পাঁচ ধাপে রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১, ৮, ১৫, ২২ ও ২৯ এপ্রিল এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। অধিদপ্তর বলেছে, উল্লিখিত তারিখে সকাল ১০টা/বিকাল ৩টা থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত ১০ মার্চ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ কতজন পরীক্ষার্থীর আসন ব্যবস্থা করা যাবে- তা আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
বিস্তারিত দেখুন বিজ্ঞপ্তিতেঃ
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার শেষ সময়ের প্রস্তুতির কৌশল!
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে চাইলে আপনাকে খুব কৌশলী হতে হবে। বাজারে প্রচলিত ১০০০-১২০০ পেজের বইগুলো পড়া ও মনে রাখা একজন চাকরির প্রার্থীর জন্য অনেক কঠিন বিষয়। বিশেষ করে শেষ সময়ের রিভিশনের সময় এতো পড়ে শেষ করা অসম্ভব। তাই শেষ সময়ে প্রস্তুতিতে কিছুটা কৌশলী হওয়া উচিৎ। তবে তার আগে আমাদের চিন্তা করা উচিৎ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ৮০ মার্কের মধ্যে কত মার্ক পেতে হবে অথবা কার্ট মার্ক কত হবে?
ছেলেদের ক্ষেত্রে কার্ট মার্ক ৬৫-৭০ হয়ে থাকে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে কার্ট মার্ক ৫৫-৬০ হয়ে থাকে।
এই মার্কের জন্য কি আপনি প্রস্তুত আছেন? নিজেকে প্রশ্ন করুন..
হয়তো ভাবছেন, আমি কিভাবে জানবো এই মার্ক পাবো কি না? এই জন্য আপনাকে কৌশলী হতে হবে।
বিগত সালের পরীক্ষার প্রশ্নের বিশ্লেষণ করুন ৯০% প্রশ্ন কমন অধ্যায় থেকে পাবেন। সেই অধ্যায়গুলো যাচাই করুন, আপনি সেই অধ্যায়ের প্রস্তুতি কেমন নিয়েছেন? এইভাবে আপনি কমন একটা মার্ক টার্গেট করতে পারবেন।
যেমনঃ সন্ধি,সমাস,কারক থেকে ১মার্ক করে কমন পাবেন, আবার শুদ্ধিকরণ থেকে কমন পাবেন ২-৩ মার্ক। এইভাবে আপনাকে টার্গেট করতে হবে, এই অধ্যায় থেকে যে কোন প্রশ্ন আসলে উত্তর দিতে পারবো। তখন নিজের অবস্থান খুব সহজে বুঝতে পারবেন।
শেষ সময় কি পড়তে হবে এবং কি বাদ দিতে হবে?
একজন চাকরির পরীক্ষার্থী অনেক বেশি পড়লেই যে চাকরিতে টিকবে এমন কিন্তু না। কি বেশি পড়তে হবে এবং কি কম পড়তে হবে সেটাকৌশল হিসেবে নিতে হবে।
যেমনঃ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১৪ সেট প্রশ্নের বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে সন্ধি,সমাস,কারক থেকে ১মার্ক করে কমন আসে আবার শুদ্ধিকরণ থেকে কমন আসে ২-৩ মার্ক। এমনকি শুধু ব্যাকরণ অংশ থেকেই ১৬-১৭ মার্ক কমন আসে। ২০ মার্কের মধ্যে ১৬-১৭ মার্ক ব্যাকরণ অংশ থেকে। আপনি এইগুলো বাদ দিয়ে যদি সাহিত্য শুধু পড়াশোনা করেন, তাহলে আপনি পরীক্ষায় ভাল করতে পারবেন না।
এই জন্য আপনাকে শেষ সময়ের প্রস্তুতির সময় অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, যে অধ্যায়গুলো থেকে অধিক প্রশ্ন কমন আসে অথবা নিশ্চিত সর্বনিম্ন ১মার্ক কমন পাবেন সেই অধ্যায়গুলোকে ।
আর যে অংশ থেকে কম প্রশ্ন পরীক্ষায় আসে সেই অংশগুলোকে কম গুরুত্ব দিতে হবে।
উদাহরণ হিসেবে আমরা ইংরেজি অংশের কথা বলতে পারি। বেশি ভাগ চাকরির পরীক্ষার্থী গ্রামারের নিয়মগুলোকেই গুরুত্ব দেয় এমন কি শুধু এইগুলো পড়েই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কিন্তু একবারও ভাবে না কেউ, প্রশ্ন বেশি কমন আসে কোন অধ্যায় থেকে Synonyms & Antonyms, Phrases & Idioms and word Meaning, Appropriate Preposition এই অধ্যায়গুলো থেকে ২০ মার্কের মধ্যে ৭-৮ মার্ক কমন আসে। এই ৩ অধ্যায় মূখস্থ করতে হয়। মূখস্থকরার ভয়ে বেশি ভাগ চাকরির পরীক্ষার্থী এই অধ্যায়গুলো পড়ে না। যদি মূখস্থকরার ভয়ে এই অধ্যায় না পড়েন, এমনিতেই আপনি চাকরির প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে যাবেন।
আবার গণিত অংশ ফলপ্রসূ কৌশলে ভাল করার জন্য জব’স পাসওয়ার্ড বই অথবা জব’স পাসওয়ার্ড এর “প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার শর্ট সাজেশন ও মডেল টেস্ট” বইটি ফলো করতে পারেন। কারণ গণিত অংশের প্রতিটা অধ্যায়ের সকল অঙ্ক করতে চাইলে আপনার অনেক সময় প্রয়োজন হবে। যা এই অল্প সময়ে রিভিশন দেওয়া সম্ভব না। জব’স পাসওয়ার্ড এর “প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার শর্ট সাজেশন ও মডেল টেস্ট” বইটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে প্রতিটা অধ্যায়ের ১০টা অঙ্ক করলেই অধ্যায়ের সকল অঙ্ক শেখা হবে। দ্রুত গণিতের রিভিশনের জন্য একই নিয়মের ১-২ টার বেশি অঙ্ক করাই ফলপ্রসূ হবে। এতে করে আপনি সহজে রিভিশন দিতে পারবেন।
সেই সাথে সাধারণ জ্ঞান অংশ ফলপ্রসূ কৌশলে ভাল করার উপায়ঃ সাধারণ অংশে মার্ক আছে ১৫ মার্ক । এই ১৫ মার্কের মধ্যে শুধু মাত্র ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৯৭১ মানে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত কমন মার্ক আছে ৭ এবং সংস্থা সংগঠন থেকে কমন মার্ক ২ । আপনি যদি এই অধ্যায় গুলো বাদ দিয়ে অন্য গুলো বেশি গুরুত্বদেন তাহলে পরীক্ষায় ভাল করতে পারবেন না।
সর্বশেষ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভাল প্রস্তুতির জন্য আপনাকে কৌশলী হতে হবে। শুধু পড়লেই হবে না, কি পড়তে হবে বেশি তা আগে নির্ধারণ করতে হবে। সর্বশেষ আমরা বলতে চাই আপনি ব্যাক্তিগত কৌশল আপনাকে অন্য পরীক্ষার্থীদের থেকে এগিয়ে রাখবে। আপনি চাইলে আমাদের জব’স পাসওয়ার্ড এর “প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার শর্ট সাজেশন ও মডেল টেস্ট” বইটি ফলো করতে পারেন উপরের আলোচনার আলোকেই বইটি লেখা হয়েছে। শেষ সময়ে ভালো প্রস্তুতি নিতে আপনাকে সাহায্য করবে।
বইটির মূল্যঃ ১৪০টাকা
আপনার জেলা শহরে কোন কোন লাইব্রেরিতে বইটি পাবেনঃ
বইটি ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সকল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের বিশ্লেষণ করে তৈরি করা হয়েছে। যে অংশ না পড়লেই নয় অর্থাৎ প্রতিটা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যে অংশ থেকে কমন আসে সেই অংশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে সাজানো হয়েছে।
১। অধ্যায় ও বিষয়ভিত্তিক শর্ট সাজেশন
২। বিষয়ভিত্তিক মডেল টেস্ট
৩। স্পেশাল পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট
অধ্যায় ও বিষয়ভিত্তিক শর্ট সাজেশনঃ
সাধারণ জ্ঞান , কম্পিউটার ভূগোল ও বিজ্ঞানঃ মোট ৪৫ পৃষ্ঠা
বিষয় ভিত্তিক মডেল টেস্ট- ২০ টি
পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট- ২৫ টি
আপনার জেলা শহরে কোন কোন লাইব্রেরিতে বইটি পাবেনঃ
প্রাইমারি ৪৫০০০ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সম্ভাব্য সময়
প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ প্রায় চূড়ান্ত। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।
আজ বুধবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এপ্রিলের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া শেষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক, রুহুল আমিন ও মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
শেষ সময়ের ভাল প্রস্তুতির জন্য জব’স পাসওয়ার্ড এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার শর্ট সাজেশন ও মডেল টেস্ট বইটি আপনার নিকটস্থ লাইব্রেরী থেকে সংগ্রহ করুন।
আসন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩২ হাজার+ শূন্যপদের নিয়োগ পরীক্ষা অতি সন্নিকটে (সম্ভাব্য তারিখ এপ্রিল ২০২২)। তাই শেষ সময়ের প্রস্তুতির জন্য শর্ট সাজেশন ও মডেল টেস্ট বই প্রকাশ হয়েছে।
শেষ সময়ের প্রস্তুতি ও নিজেকে মডেল টেস্টের মাধ্যমে যাচাইয়ের জন্য বইটি সংগ্রহ করুন।
বইটি কেন পড়বেন?
বইটি ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সকল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের বিশ্লেষণ করে তৈরি করা হয়েছে। যে অংশ না পড়লেই নয় অর্থাৎ প্রতিটা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যে অংশ থেকে কমন আসে সেই অংশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে সাজানো হয়েছে।
বইটিতে কি কি থাকছে?
১। অধ্যায় ও বিষয়ভিত্তিক শর্ট সাজেশন
২। বিষয়ভিত্তিক মডেল টেস্ট
৩। স্পেশাল পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট
অধ্যায় ও বিষয়ভিত্তিক শর্ট সাজেশনঃ
বাংলাঃ মোট ৩৬ পৃষ্ঠা
ইংরেজিঃ মোট ৪২ পৃষ্ঠা
গণিতঃ মোট ৪৫ পৃষ্ঠা
সাধারণ জ্ঞান , কম্পিউটার ভূগোল ও বিজ্ঞানঃ মোট ৪৫ পৃষ্ঠা
বিষয় ভিত্তিক মডেল টেস্ট- ২০ টি
পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট- ২৫ টি
বইটির মূল্যঃ ১৪০টাকা
পরীক্ষার সময়সূচী ও এডমিট কার্ড প্রকাশের তারিখঃ এডমিট কার্ড প্রকাশ সহ চাকরির পরীক্ষার সময়সূচী জানার জন্য আপনি মোবাইল Jobs Exam Alert অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি সকল চাকরির তথ্য সবার আগে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানতে পারবেন ।