দেশের বিভিন্ন জেলার ৪৭৭ জন প্রাইমারি শিক্ষকের নিয়োগে জালিয়াতি ধরা পড়ায় তা স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৭ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর ৪ হাজার ৮২৫টি স্কুলকে সরকারিকরণ করা হয়। শিক্ষকদের যোগ্যতা নির্ধারণে গঠন করা হয় সার্চ কমিটি। এতে বাদ পড়েন অনেকে। কিন্তু ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, নড়াইল ও কুষ্টিয়ার ৪৭৭ জন শিক্ষক নিজেদের যোগ্য ঘোষণা করতে আশ্রয় নেন জালিয়াতির।
তাদের মধ্যে ২৬ জন শিক্ষক দাবি করেন, তাদের নিয়োগ হয়েছে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই। তবে নথির তথ্য বলছে, ওই বছর ১ থেকে ৯ জুলাই ছিল ঈদুল ফিতরের ছুটি। শুধু তাই নয়, হাইকোর্টে দেওয়া একটি নথিতে ৪৭৭ শিক্ষকের যে সই রয়েছে, তা একজনের হাতেই করা বলেও আদালতের নজরে এসেছে।
তাই শুনানিকালে এসব নথি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
এদিকে জালিয়াতির তথ্য আপিল বিভাগে প্রকাশের পর শিক্ষকদের অনেককেই দ্রুত এজলাস ছেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, এত সব জাল নথি দেখেও হাইকোর্টের যে বিচারপতি রায় দিয়েছিলেন, তিনি (বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী) অবিচারক সুলভ আচরণের জন্য এরই মধ্যে হারিয়েছেন বিচারিক ক্ষমতা। সেই বেঞ্চের দুই বিচারকই ২০১৮ সালে ৭ মামলায় ৪৭৭ জন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়ার রায় দেন। তবে সেই রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপাতত এদের সবার নিয়োগ স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।