আগামি অক্টোবর মাসের ১৩ ও ১৪ তারিখ রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দলের দুটি টি টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড একটি বিবৃতিতে জানায় তারা পাকিস্তানে তাদের দলকে পাঠাবে না।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালে কোন জাতীয় দল হিসাবে পাকিস্তান সফর করেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু নারী ক্রিকেট দল এখন পর্যন্ত যায়নি। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড জানায় শুক্রবার’ সুনির্দিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য’ ঝুঁকির কথা স্মরণ করে তারা তাদের জাতীয় দলকে পাকিস্তান থেকে সরে আনে।
তারা আরও বলেন ওই এলাকায় সফর নিয়ে এখন উদ্বেগ বেড়েছে। তাই তারা তাদের দলকে পাঠাবে না। তাছাড়া এই সময়ে তাদের পাঠানো হলে তাদের উপর বাড়তি চাপ আসবে। এতে তারা আগামি বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে পারবে না।
তাছাড়া কোভিড নিয়ে ক্রিকেটারদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেওয়ায় তারা আগ্রহী নয়। অন্যদিকে ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলের টিম বাসে বন্দুকধারীদের হামলার পর ছয় বছর পাকিস্তানে কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজিত হয়নি।পাকিস্তান সংযুক্ত আরব আমিরাতেই তাদের সব ঘরের মাঠের ম্যাচ খেলেছে।২০১৫ সালে দলগুলো পাকিস্তান যাওয়া শুরু করে।২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তান ১০ বছর পর নিজেদের মাঠে টেস্ট ক্রিকেট খেলে।
এ নিয়ে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন একটি টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘পাকিস্তান সফর থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তই আসতো। নিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা গেছে সেখানে এটাই স্বাভাবিক সিদ্ধান্ত। আমি অবাক হচ্ছি এই সিরিজটি আরব আমিরাতে কেন আয়োজন করা হল না। আশা করি পরিস্থিতি বদলাবে এবং দলগুলো পাকিস্তান সফরে যাবে।’
রমিজ রাজা বলেছেন, যখন পশ্চিমা দেশগুলোকে আমাদের প্রয়োজন তখন তারা আমাদের সাথে নেই। নিরাপত্তা বিশ্বের যে কোনও দেশে একটা উদ্বেগের বিষয়। যেভাবে পশ্চিমা দেশগুলো পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে তাতে আমরা একঘরে বোধ করছি। তারা মানসিক ক্লান্তির কথা বলতে পারে কিন্তু সেটাও পর্যাপ্ত না।
২০২২ সালের শেষে পাকিস্তানে ইংল্যান্ডের তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে।ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ‘২০২২ সালে পাকিস্তান সফরের যে অঙ্গীকার ছিল সেগুলোতে জোর দিচ্ছে’ বলে জানাচ্ছে।