টোকিও অলিম্পিকে ছেলেদের ফুটবলে স্বর্ণ ধরে রেখেছে ব্রাজিল। শনিবার রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়েছে সেলেকাও শিবির।নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ছিল ১-১ গোলে ড্র। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। যেখানে ব্রাজিলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন ম্যালকম।টোকিওর নিশান স্টেডিয়ামে ১৯ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দিচ্ছিল প্রায় ব্রাজিল। কোনোমতে নিজেই সেই বল ঠেকান ডগলাস লুইজ। ২৫ মিনিটে রিচার্লিসন গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। গুইলার্মে আরেনার কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের একেবারে কাছ থেকে শট নেন তিনি। কিন্তু বলটি চলে যায় জালের বাইরে।
৩২ মিনেটে মার্কো আসেনসিওর ব্রাজিল গোলমুখে দারুণ একটি শট ফিরিয়ে গোল গোলরক্ষক সান্তোস। পাস দিয়েছিলেন চুচুরেলা।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো ব্রাজিল। কিন্তু পেনাল্টি মিস করেন রিচার্লিসন। স্পেনের বক্সের মধ্যে ম্যাথিয়াস চুনহাকে ফাউল করেন স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমোন। ভিএআর দেখে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। স্পট কিক নিতে আসেন রিচার্লিসন। কিন্তু তার শট চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে।
প্রথমার্ধের শেষের দিকে লিড নেয় ব্রাজিল। ব্রাজিল অধিনায়ক দানি আলভেজের পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের মধ্যখান থেকেই ডান পায়ের দারুণ এক শটে স্পেনের জাল কাঁপান ম্যাথুস চুনহা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬১ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে স্পেন। গোলটি করেন মিকেল ওইয়ারসাবাল। সমতা আসার পর দুই দলই আক্রমণ শানায় গোলের জন্য। কিন্তু নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর গোল পায়নি কোনো দল। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। যেখানে শেষ হাসি ব্রাজিলের। সেলেকাওদের হয়ে জয়সূচক গোল করে স্বর্ণ জেতান ম্যালকম।
অলিম্পিক ফুটবলে ব্রাজিলের এটি টানা দ্বিতীয় স্বর্ণ জয়। ঘরের মাঠে ২০১৬ রিও অলিম্পিকে প্রথম স্বর্ণ জিতেছিল তারা। অপরদিকে ১৯৯২ বার্সেলোনা অলিম্পিকে প্রথম ও একমাত্র স্বর্ণ জিতেছিল স্পেন। এবার ব্রাজিলের কাছে হেরে দ্বিতীয় স্বর্ণের জন্য অপেক্ষা আরো বাড়ল স্প্যানিশদের।