চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে আজ প্যারিসে মুখোমুখি হবেন লিভারপুল ও রিয়ালমাদ্রিদ। ইউরোপের ক্লাব গুলোর মধ্যে দুটি দলই সেরা। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতার ফাইনালে তৃতীয়বার দেখা হচ্ছে এই দুই দলের। এর আগের দুবারে একবার হেসেছে লিভারপুল, আরেকবার রিয়াল। এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল যে সাতবার ফাইনালে উঠেছিল সেই সাতবারই ট্রফি হাতে নিয়েছিল। এর জয়ের ধারা কি এ বারেও অব্যাহত রাখতে পারবে রিয়াল। লিভারপুর ও রিয়ালের আগের ইতিহাস জানা যাক।
লিভারপুল ১ : ০ রিয়াল মাদ্রিদঃ
রিয়াল মাদ্রিদ সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলেছে প্যারিসে ৪১ বছর আগে।পার্ক দে প্রিন্সেসের সেই ফাইনালটা তৃতীয়বার ইউরোপ–সেরা বানিয়েছিল লিভারপুলকে। অভূতপূর্ব এক কীর্তিতে সেদিন নাম লিখিয়েছিলেন ইংলিশ ক্লাবটির কোচ বব পেইসলি। ইউরোপিয়ান কাপের ইতিহাসে প্রথম কোচ হিসেবে তৃতীয়বার দলকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলেন পেইসলি। তাতে টানা পঞ্চমবার ইংল্যান্ডে গিয়েছিল ইউরোপ–সেরার মুকুট।
৮১ মিনিটে রে কেনেডির থ্রোইন খুঁজে পায় অ্যালান কেনেডিকে। রিয়ালের বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে ঢুকে যাওয়া অ্যালানকে আটকাতে পারেননি রিয়াল ডিফেন্ডার রাফায়েল গার্সিয়া কোর্তেস। রিয়াল গোলরক্ষকের ঠেকানোর সামর্থ্য ছিল সেই শট। ওই একমাত্র গোলটাই শিরোপা জয়ের উদ্যাপনে মাতিয়ে দেয় পার্ক দে প্রিন্সেসের একাংশকে ‘কপ’ বানিয়ে ফেলা লিভারপুল সমর্থকদের।গোল শোধের জন্য মরিয়া রিয়ালের আক্রমণের ঢেউ এরপর আছড়ে পড়তে থাকে লিভারপুলের রক্ষণভাগে। এর আগে দুই দলই বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাবটিকে যে এরপর আবার ফাইনালে উঠতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৭ বছর।
রিয়াল ৩ : ০ লিভারপুলঃ
চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় ফাইনাল মঞ্চস্থ হয়েছিল কিয়েভে। রিয়ালের করা ৩ গোলের ২টিই যে কারিয়াসের উপহার। ৫১ মিনিটে সতীর্থের দিকে তাঁর ছোড়া বলটি পাশেই দাঁড়ানো করিম বেনজেমা পাঠিয়ে দিলেন জালে।
চার মিনিট পর সাদিও মানে সমতা এনে দেন। ৬১ মিনিটে মাঠে নামার দুই মিনিট না যেতেই দুর্দান্ত এক অ্যাক্রোবেটিক শটে গোল করে বসেন রিয়াল উইঙ্গার গ্যারেথ বেল। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ইতিহাসে অন্যতম সেরা গোলের তকমা পেয়ে গেছে বেলের এই গোল। ৮৩ মিনিটে ওয়েলস তারকা পেয়ে যান দ্বিতীয় গোল। এই গোলে বেলের চেয়ে কারিয়াসের অবদানই বেশি। প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে লিভারপুল গোল লক্ষ্য করে নিরীহ এক শট নিয়েছিলেন বেল। সেই শট ধরতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালেই ঢুকিয়ে দিলেন কারিয়াস। ওই গোলের পর দেখার মতো হয়েছিল কারিয়াসের চেহারা। রিয়ালের অবশ্য সেই চেহারা দেখার ফুরসত ছিল না। একটু পরেই যে ১৩তম বারের মতো ইউরোপ–সেরা হওয়ার উৎসবে মাতে দলটি।