1. anamul2091@gmail.com : Na34Nahy#$ : Anamul Haque
  2. nahid@breakingnews24.com.bd : Nahis354#$asa : Anamul Haque
প্রাথমিক শিক্ষকরা পাবেন তৃতীয় গ্রেড, নিয়োগ হচ্ছে সহকারী প্রধান শিক্ষক - Breaking news 24
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
Breaking news:
দেশের অর্ধেক ভোটারই জানেন না ‘পিআর’ কী! নির্বাচন নিয়ে নতুন সমীক্ষায় অবাক করা তথ্য সুবিধা বাড়লেও সাফল্য অধরাই, শান্তর জবাব: ‘‘বেতন বাড়াতে আপনারা খুশি না?’ ১৭তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের চাকরির চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ ১ম ধাপের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ২০২৩ সালের প্রথম ধাপের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ প্রথম ধাপের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের সম্পূর্ণ সমাধান শেষ সময়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য গণিত রিভিশনের কৌশলঃ প্রথম ধাপের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান আপডেট প্রথম ধাপের পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রের তথ্য জানতে চিঠি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হতে পারে অক্টোবরে

দেশের সকল সরকারি চাকরির তথ্য সবার আগে মোবাইলে নোটিফিকেশন পেতে মোবাইলে রাখুন Android App: Jobs Exam Alert 

প্রাথমিক শিক্ষকরা পাবেন তৃতীয় গ্রেড, নিয়োগ হচ্ছে সহকারী প্রধান শিক্ষক

  • Update Time : বুধবার, ১১ মে, ২০২২
  • ১০৭৮ Time View

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদোন্নতির লক্ষ্যে প্রস্তুত করা খসড়া নীতিমালা পাঠানো হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। এই নীতিমালা অনুমোদন পেলে একজন শিক্ষক পদোন্নতির সর্বশেষ ধাপে যুগ্ম-সচিব মর্যাদার তৃতীয় গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন। নীতিমালায় সহকারী প্রধান শিক্ষক পদেরও বিধান রাখা হয়েছে। আর প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় ব্যবস্থায় ৮০ শতাংশ পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়েছে প্রস্তাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতির জট খুলতে নিয়োগ নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। রবিবার (৮ মে) এই খসড়া সারাংশসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘এই নীতিমালা অনুমোদন পেলে ৮০ শতাংশ সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক প্রার্থীরা বিভাগীয় ব্যবস্থায় পদোন্নতির সুযোগ পাবেন। যোগ্য প্রার্থীরা বিভাগীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে পদোন্নতি পাবেন। সর্বোচ্চ পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকরা যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের তৃতীয় গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির কিছু সুযোগ থাকলেও ঊর্ধ্বতন প্রধান শিক্ষক পদটি ব্লক পদ। সে কারণে প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতি হয় না, আর তাই সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পান না। এছাড়া জ্যেষ্ঠতা তালিকা তৈরি করতে না পারায় পদোন্নতি পান না শিক্ষকরা।

প্রস্তাবিত নীতিমালায় নির্দিষ্ট সময় শিক্ষকরা উচ্চতর পদ ও গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়েছে। শিক্ষকরা উপজেলা বা থানা রিসোর্স সেন্টারে দশম গ্রেড পদোন্নতি পাবেন নতুন নীতিমালা অনুযায়ী। একজন শিক্ষক পদোন্নতি পেয়ে সর্বোচ্চ তৃতীয় গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন। প্রসঙ্গত, তৃতীয় গ্রেড প্রশাসনের যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার গ্রেড।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘দুটি নিয়োগবিধি রয়েছে। প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিধি অনুযায়ী পদটি ব্লক পদ। তার কোনও পদোন্নতির সুযোগ নেই। আরেকটি হচ্ছে— প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে নিয়োগবিধি। এই নিয়োগ বিধিমালায় বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে ৮০ শতাংশ পদোন্নতি যেন পায় সে সুযোগ রাখা হয়েছে। সরকার নীতিগতভাবে তাতে সম্মত হয়েছে। নিয়োগবিধি পাস হয়ে গেলে ৮০ শতাংশ বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। এছাড়া উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ও থানা রিসোর্স সেন্টার রয়েছে সেখান দশম গ্রেডে পদ রয়েছে সেই পদে তারা ৮০ শতাংশ পদোন্নতি পাবেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ রাখা হয়েছে।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর জানায়, দেশে ২৬ হাজার ৫৬৬টি বিদ্যালয়ে কয়েক রকমের শিক্ষক রয়েছেন। উপজেলা বা থানাভিত্তিক মেধাতালিকায় নিয়োগ পাওয়া, নন-ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া, প্রকল্প থেকে নিয়োগ পাওয়া এবং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি হওয়ার পর আত্তীকরণ হওয়া শিক্ষক রয়েছেন। আগের নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা বা থানাভিত্তিক মেধাতালিকা রয়েছে। এছাড়া নতুন সরকারি হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রকল্প থেকে আসা শিক্ষকদের মেধা তালিকা নেই। ফলে পদোন্নতির জন্য জ্যেষ্ঠতার তালিকা তৈরি করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘জ্যেষ্ঠতার তালিকা তৈরি করা হলেই উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হচ্ছে। ফলে পদোন্নতির কাজ বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে। সহকারী শিক্ষক হিসেবে যিনি গ্রামে নিয়োগ পান তারা শহরে আসতে চান। কিন্তু নিয়োগ উপজেলাভিত্তিক। আর শহরাঞ্চলে থানাভিত্তিক। সে কারণে তাদের মেধা তালিকাও উপজেলা বা থানাভিত্তিক। নিয়োগবিধি অনুযায়ী অন্যত্র বদলির সুযোগ নেই। কিন্তু মানবিক কারণে শিক্ষকদের শহরে বদলি হয়ে আসতে হয়েছে। এ কারণে জ্যেষ্ঠতার সমস্যা হয়। কারণ মেধা তালিকা না থাকলে জ্যেষ্ঠতা তালিকা হয় না। আর জ্যেষ্ঠতা তালিকা না থাকলে পদোন্নতি হয় না। এসব বিষয়ে ৫ হাজারের কাছাকাছি রিট মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন। আমরা মামলার জটে পড়ে অনেক জায়গায় শিক্ষকের পদোন্নতি দিতে পারছি না। যখনই একটি জ্যেষ্ঠতার তালিকা আমরা ওয়েবসাইটে দিয়েছি, তখনই তিনটি রিট মামলা হয়েছে। সে কারণে পদোন্নতির কাজটা আবার স্থবির হয়ে গেছে। ’

তবে পরবর্তী নিয়োগের সময় থানা, উপজেলা, জেলা ও জাতীয় মেধাতালিকা তৈরি করা হবে বলে জানান মহাপরিচালক।

সূত্রঃ Bangla Tribune

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Breaking News 24
Theme Customized By BreakingNews