Breaking news 24

নিউজ এখন হাতের মুঠোয়।

দেশের সকল সরকারি চাকরির তথ্য সবার আগে মোবাইলে নোটিফিকেশন পেতে মোবাইলে রাখুন Android App: Jobs Exam Alert 

Sports

দুর্দান্ত জয়ে ভারতকে পেছনে ফেলল পাকিস্তান

ক্রিকেট ইতিহাসের জনপ্রিয় দল গুলোর একটি হলো পাকিস্তান। পাহাড় টপকানোর মতো চ্যালেঞ্জ নিয়ে ২২ বছর বয়সি তরুণ ওপেনারের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে জয় লাভ করলো বাবর আজমের পাকিস্তান।

আগের দিনের সেঞ্চুরিকে আরও টেনে নিলেন আবদুল্লাহ শফিক।ধৈর্যের প্রতিমূর্তি হয়ে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেললেন শেষ পর্যন্ত।

ইতিহাস গড়ে গল টেস্ট জিতে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল। জয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে তিনে উঠে এসেছে পাকিস্তান। এতে ফাইনালে ওঠার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল।

পাকিস্তানের পেছনেই চারে রয়েছে ভারত। যেখানে ১২ ম্যাচ খেলে ৬ জয় ও ৪ হারে ৭৫ পয়েন্ট জমা করেছে ভারত। সেখানে চার ম্যাচ কম খেলেই চার জয় ও ২ হারে ৫৬ পয়েন্ট অর্জন করেছে বাবর আজমের পাকিস্তান।

পাঁচে উঠে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছয়ে নেমে গেছে শ্রীলংকা। শেষের বাকি তিনটি জায়গা আবার একই রয়েছে। অর্থাৎ সাত, আট এবং নয়ে রয়েছে যথাক্রমে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ।

অন্যদিকে ১০ ম্যাচ খেলে একটি মাত্র জয় দিয়ে মাত্র ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের একেবারে তলানিতে অবস্থান (৯ নম্বর) বাংলাদেশের।

৩৪২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় বুধবার শেষ দিনে শ্রীলংকাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। শ্রীলংকার স্পিন দুর্গ গলে এই প্রথম চতুর্থ ইনিংসে ৩০০ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়া করে জিতল কোনো দল। এই মাঠে এর আগে সর্বোচ্চ ২৬৮ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল লংকানদের।

পাকিস্তানের রেকর্ড গড়া জয়ের নায়ক শফিকের হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। ৪০৮ বলে অপরাজিত ১৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে দলকে জিতিয়ে ফেরেন তিনি। জয়ের জন্য শেষ দিনে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১২০ রান, শ্রীলংকার সাত উইকেট। চতুর্থ উইকেটে শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৭১ রানের জুটিতে লংকানদের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা ম্লান হয়ে যায়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর শ্রীলংকা প্রথম ইনিংস ২২২। পাকিস্তান প্রথম ইনিংস ২১৮। শ্রীলংকা দ্বিতীয় ইনিংস ৩৩৭।

পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস ৩৪৪/৬ (আবদুল্লাহ শফিক ১৬০*), ইমাম-উল-হক ৩৫, বাবর আজম ৫৫, মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪০, মোহাম্মদ নওয়াজ ১৯*। প্রবাথ জয়াসুরিয়া ৪/১৩৫)।

ফল : পাকিস্তান ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : আবদুল্লাহ শফিক (পাকিস্তান)।