Breaking news 24

নিউজ এখন হাতের মুঠোয়।

দেশের সকল সরকারি চাকরির তথ্য সবার আগে মোবাইলে নোটিফিকেশন পেতে মোবাইলে রাখুন Android App: Jobs Exam Alert 

Islam

জুমার নামাজ আদায়কারীর চেহারা যেদিন উজ্জ্বল হবে

উত্তমভাবে অজু করা : অজু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সালাত কবুলের জন্য এটি পূর্বশর্ত। যেসব আমলের মাধ্যমে আলো অর্জন করা যায়, তার মধ্যে অজু অন্যতম। নুআঈম ইবনে আবদুল্লাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি আবু হুরায়রা (রা.)-কে অজু করতে দেখেন। অজু করতে তিনি মুখমণ্ডল ও হাত দুটি এমনভাবে ধুলেন যে প্রায় কাঁধ পর্যন্ত ধুয়ে ফেলেন। এরপর পা দুটি এমনভাবে ধুলেন যে পায়ের নালার কিছু অংশ ধুয়ে ফেলেন। এভাবে অজু করার পর বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, আমার উম্মত অজুর প্রভাবে কিয়ামতের দিন দীপ্তিময় মুখমণ্ডল ও হাত-পা নিয়ে উঠবে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যারা সক্ষম তারা যেন বেশি বিস্তৃত দীপ্তিসহ উঠতে চেষ্টা করে। (মুসলিম, হাদিস : ২৪৬)

জুমায় উপস্থিত হওয়া : জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। জুমায় উপস্থিত হওয়ার যেমন বিশেষ ফজিলত আছে, তেমনি এতে উপস্থিত হয়ে সালাত আদায় করা আল্লাহর নূর অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন পৃথিবীর দিবসগুলোকে নিজ অবস্থায় উত্থিত করবেন। তবে জুমার দিনকে আলোকোজ্জ্বল ও দ্বীপ্তিমান করে উত্থিত করবেন। জুমা আদায়কারীরা আলো দ্বারা বেষ্টিত থাকবে, যেমন নতুন বর বেষ্টিত থাকে। এটি তাকে প্রিয় ব্যক্তির কাছে নিয়ে যায়। তারা আলোবেষ্টিত থাকবে এবং সেই আলোতে চলবে। তাদের রং হবে বরফের মতো উজ্জ্বল ও সুগন্ধি হবে কর্পূরের পর্বত থেকে সঞ্চিত মিশকের মতো। তাদের দিকে জিন ও মানুষ তাকাতে থাকবে। তারা আনন্দে দৃষ্টি ফেরাতে না ফেরাতেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের সঙ্গে একনিষ্ঠ সওয়াব প্রত্যাশী মুয়াজ্জিন ছাড়া কেউ মিশতে পারবে না।’ (মুসতাদরাক হাকেম, হাদিস : ১০২৭; সহিহ ইবনে খুজায়মা, হাদিস : ১৭৩০)

গুরুত্বসহ সালাত আদায় : সালাত শুধু ফরজ ইবাদত নয়। বরং এটি আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম। সালাত এমন একটি ইবাদত, যার মাধ্যমে নূর বা আলো অর্জন করা যায়। রাসুল (সা.) বলেন, “পাক-পবিত্রতা হলো ঈমানের অর্ধেক। ‘আল-হামদু লিল্লাহ’ মানুষের আমলের পাল্লাকে ভরে দেয় এবং ‘সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদু লিল্লাহ’ সওয়াবের পাল্লা পরিপূর্ণ করে দেয়। অথবা বলেছেন, আকাশমণ্ডলী ও জমিনের মধ্যে যা কিছু আছে তা পরিপূর্ণ করে দেয়। সালাত হলো নূর বা আলো। দান-খয়রাত (দানকারীর পক্ষে) দলিল। ধৈর্য হলো জ্যোতি। কোরআন হলো তোমার পক্ষে অথবা বিপক্ষে দলিল। প্রত্যেক মানুষ ভোরে ঘুম থেকে উঠে নিজের আত্মাকে তাদের কাজে ক্রয়-বিক্রয় করে। হয়তো তাকে সে আজাদ করে দেয় অথবা জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।” (মুসলিম, হাদিস : ২২৩)